কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ১৯ এপ্রিল পরীক্ষার দিনে কুমিল্লার বিভিন্ন রুটে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছেন সিএনজি ও অটোরিকশা চালকরা।
কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে কুবি ক্যাম্পাস পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাড়া ২০ টাকা হলেও, একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ সেদিন তাদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সিনথিয়া বলেন, ‘পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে বোর্ড মার্কেট পর্যন্ত যেতে রিকশায় উঠেছিলাম। জায়গাটা খুব কাছেই, অথচ চালক ৪০ টাকা ভাড়া নিয়েছেন। আমি জানি না, উনি ওই দিনের জন্যই এমন ভাড়া ঠিক করেছিলেন কিনা। আমাদের মতো দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ খুবই দুঃখজনক।’
আরেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হাসান সাদমান বলেন, ‘রেলস্টেশনে নামার পর থেকেই শুধু ভোগান্তি। রিকশাভাড়া বেশি, খাবার হোটেলগুলোতে খাবার নেই। শেষমেশ একটা দোকানে দই-চিড়া খেয়ে কোনোভাবে পরীক্ষা দিতে গিয়েছি। কথা হলো, যদি বিভাগীয় শহরগুলোতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে কুবি কেন গুচ্ছ থেকে আলাদা হলো? মডার্ন স্কুলের সামনেও বসার জায়গা ছিল না।’
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মোনায়েন ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘বিশ্বরোড থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত একজন চালক আমার কাছ থেকে ১৫০ টাকা নিয়েছেন। পরে শুনেছি এই রুটে ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আবদুল হাকিম বলেন, ‘আমরা মনিটরিংয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। মাঠপর্যায়ে কাজ করেছি। তবে দেখা গেছে, অভিভাবকরাই বেশি ভাড়া দিয়ে গাড়িতে উঠছেন, আপত্তি করছেন না। তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিটিং করেছি। আগামী পরীক্ষায় বিষয়টি আমরা কঠোর নজরদারিতে রাখবো।’
এএম/ফরহাদ কাউসার